ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

বিচারকদের নিয়ে বক্তব্য

অনুতপ্ত নুর, হাইকোর্টে ফের ক্ষমা চাইলেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ০৬ মার্চ ২০২৪

দেশের বিচার বিভাগ ও বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যে আদালত অবমাননার পরিপ্রেক্ষিতে অনুতাপ ও অনুশোচনা প্রকাশ করে আবারও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

এ বিষয়ে শুনানির দিনে আদালতে উপস্থিত হয়ে বুধবার (৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আগামী ৩০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির জন্য দিন রাখেন আদালত। ওইদিনও নুরকে আদালতে থাকতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে আজ নুরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও মো. মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

গত ৭ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীতে অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। ওই সমাবেশে বিচার বিভাগ ও বিচারকদের নিয়ে প্রকাশ্যে আপত্তিকর বক্তব্য দেন নুরুল হক নুর। তার বক্তব্য উদ্বৃত করে সংবাদ প্রকাশ করে একটি দৈনিক। প্রকাশিত ওই সংবাদ নজরে আনলে গত বছর ১৭ ডিসেম্বর স্বপ্রণোদিত রুল জারির পাশাপাশি নুরকে তলব করেন হাইকোর্ট। সে তলবে গত ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজির হন নুর।

ওইদিন আদালতে নুরের আইনজীবীরা হলফনামা জমা দিতে সময় চাইলে আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন। ওইদিন আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমার আর্জি জানালেও নুরের আবেদনে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন হাইকোর্ট।

সেদিন আদালত বলেছিলেন, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেও ভবিষ্যতে আদালত অবমাননাকর কিছু না করার বিষয়ে কোনো অঙ্গীকার তিনি করেননি। তার ব্যাখ্যা সন্তোষজনক হয়নি। তখন আইনজীবীর মাধ্যমে ফের ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য সময় চাইলে আদালত সময় মঞ্জুর করে বলেছিলেন, ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষায় যে আদেশ দেওয়া দরকার সে আদেশেই দেওয়া হবে। সে ধারাবাহিকতায় অনুশোচনা-অনুতপ্ত প্রকাশ করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নুরুল হক নুর।

গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে ১৭ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেদিন শুনানি হয়। তারপর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া, শুনানি ও আদেশের জন্য এ দিন ঠিক করেন।

গত ৭ ডিসেম্বর অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ। সেদিন দুপুরে পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ ওঠে নুরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ৭ ডিসেম্বর একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

এফএইচ/এমকেআর/জেআইএম