নাইকো দুর্নীতি মামলা : খালেদার বিষয়ে শুনানি জুনে
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি আবারও পিছিয়ে আগামী ৭ জুন ঠিক করেছেন আদালত। মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়াসহ সাত জনের পক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির জন্য নতুন এ তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ এম আমিনুল ইসলাম এই আদেশ দেন। আসামিদের মধ্যে কারাগারে আটক গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা শহীদুল ইসলাম, ইউছুফ হোসাইন ও সেলিম ভূঁইয়াও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
খালেদার পক্ষে আজ শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।
গত ২৮ ডিসেম্বর এই শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও খালেদার সময়ের আবেদনে তা পিছিয়ে যায়। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি দুই পক্ষের শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের নতুন তারিখে ধার্য করেছিলেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এই মামলাটির কার্যক্রম বিচারিক আদালতে চলবে বলে গত বছর ১৮ জুন রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। রায় প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছিলেন মামলার প্রধান আসামি বেগম খালেদা জিয়া।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই নাইকো দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত ও রুল জারি করেন আদালত। পরে ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চার দলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এফএইচ/এনএফ/পিআর