হাইকোর্টে ইশরাকের ১২ মামলার জামিন শুনানি আজ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সহযোগী পরিচয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিয়ান আরাফির সংবাদ সম্মেলনে থাকা ও নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানার ১২ মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে আজ।
যদিও এ জামিন আবেদনের বিষয়ে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম দিন জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একটি মামলার বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদাত হোসাইনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রয়ারি) দিন ঠিক করে আদেশ দেন।
আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
বুধবার ১৩ মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ইশরাকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান এ আবেদন করেন।
বিএনপির ডাকা ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর রাজধানীর রমনা, পল্টনসহ বিভিন্ন থানায় এসব মামলা হয় ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে।
মিয়ান আরাফি গণমাধ্যমের কাছে নিজেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা দাবি করেন এবং সেই সুরেই বক্তব্য রাখার পরে মিয়ান আরাফির বক্তব্যের দায় নিতে অস্বীকার করে বিএনপি। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসও জানায়, মিয়ান আরাফি নামে তাদের কোনো প্রতিনিধি বিএনপি কার্যালয়ে যাননি। এরপর কথিত মিয়ান আরাফিকে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। পরদিন আটক করা হয় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে।
মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কথিত মিয়ান আরাফি জানান, তাকে বাসা থেকে কয়েকটি বিষয় শিখিয়ে পড়িয়ে এনে বিএনপি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
মিয়ান আরাফির প্রকৃত নাম জাহিদুল ইসলাম বেল্লাল। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে। মাঝে মাঝে দেশে আসেন তিনি। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের মানিকদিয়া গ্রামে তার বাড়ি। ছোটবেলাতেই পরিবারের সবাই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ায় এলাকার কারও সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না।
এফএইচ/বিএ/জিকেএস