ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা

দণ্ডের আপিল শুনানিতে উপস্থিত হবেন ড. ইউনূস, চাইবেন জামিন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৪৭ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামি আগামী রোববার (৩ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে সশরীরে হাজির হবেন। এ বিষয়ে আপিল শুনানির দিনে জামিনও চাইবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জাগো নিউজকে তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, যেহেতু সেদিন পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ, কাজেই হাজির হতেই হবে। আমরাও যাবো জামিনের মেয়াদ বাড়াতে।

এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. ইউনূসের। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন পান ইউনূসসহ ৪ জন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

একই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে চারজনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। আপিল শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ তারিখ ধার্য করা হয়েছে। দণ্ড স্থগিত করেছেন ওই সময় পর্যন্ত।

গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এম এ আউয়াল (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এ আদেশ দেন।

এর আগে সংশ্লিষ্ট আপিল ট্রাইব্যুনালে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার ৬ মাসের দণ্ড দিয়ে রায় বাতিল ও সাজা থেকে খালাস দিতে ২৫ যুক্তিতে আপিল আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ তাদের আইনজীবী।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়ে গ্রামীণ টেলিকমের সব শ্রমিককে তাদের ন্যায্য পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়।

শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।

চলতি বছরের শুরুর দিন ১ জানুয়ারি রায়ের জন্য ধার্য দিনে ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে এক মাসের জন্য জামিন দেন।

এই সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘন করে যেসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তা বিধি সংশোধন করে সেসব সুবিধা প্রদান করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। এরপর গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এর পরে গত ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এর পরে গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগে আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী, গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।

এফএইচ/এসএনআর/জিকেএস