ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

হাইকোর্টে জামিন খারিজ

কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি মির্জা ফখরুলের স্ত্রী-মেয়ে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২৪

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে জামিন পাচ্ছেন না মির্জা ফখরুল।

রায়ের পর মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে কি না, তা মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

রুলের ওপর উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আজ মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. সগীর হোসেন লিওন। আদালতে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, মো. আসাদুজ্জামান, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল, মো. আক্তারুজ্জামান, মনিরুজ্জামান আসাদ, মো. মাকমুদ উল্লাহ প্রমুখ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আব্দুর রাফেল। আদালতে মির্জা ফখরুল ইসলামের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও তার মেয়ে উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, আশা নিয়ে হাইকোর্টে এসেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও ছোট মেয়ে শাফারু মির্জা সুমি। কিন্তু তারা আশাহত হয়ে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন।

তারা মনে করেছিলেন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ হাইকোর্ট থেকে জামিন পাবেন। কিন্তু হাইকোর্ট এই মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন।

আদালতে এই রায় শোনার পর ফখরুলের স্ত্রী-কন্যার মুখ মলিন হয়ে যায়। আদালতের রায়ের পর এনেক্স ভবনের সামনে ফখরুলের স্ত্রী-কন্যাকে মন ভার করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি তারা। কথাও বলতে রাজী হননি তারা।

এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের ছবি তুলতে গেলে ফখরুলের স্ত্রী বলেন, আমাদের ছবি তুলবেন না। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিএনপি নেতা ফরহাদ আজাদ বলেন, জামিন হয়নি। উনাদের, আমাদের মন ভালো নেই। আপনারা এভাবে ছবি তুলবেন না। এরপর গাড়িতে উঠে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী ও কন্যা ঢাকা জজ কোর্টের দিকে রওয়ানা হন। সেখানে অন্য মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি হওয়ার কথা।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ মহিদ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসমাবেশ কর্মসূচি ডাক দিয়ে শর্ত ভঙ্গ, পুলিশ হত্যা, নাশকতা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসব ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করা হয়েছে। দিনভর ডিবি কার্যালয়ে রাখার পর রাতে আদালতে তোলা হয় বিএনপি মহাসচিবকে।

এফএইচ/এসএনআর/এএসএম