ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

নাশকতার ৮ মামলা

আমীর খসরুর জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০২৪

রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা নাশকতার ৮ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। তার সঙ্গে ছিলে অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিয়ন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, গত ২ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হলেও নাশকতার ৮ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখাচ্ছে না পুলিশ। এর মধ্যে সিএমএম কোর্টে জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত জামিন আবেদনগুলো নিয়ে রেখে দিয়েছেন। নিষ্পত্তি করছেন না। এটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। হাইকোর্ট জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে ঢাকার সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে সিএমএম আদালতে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানান তার আরেক আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। ২০ শর্তে দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। ওইদিন আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সমাবেশের দিন হামলা-সংঘর্ষের পর রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় মোট ১১টি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়। সমাবেশের দিন পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল পারভেজ হত্যা মামলায় গত ২ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পল্টন থানায় নাশকতার এক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর গ্রেফতার দেখানো হলেও বাকি ৮ মামলায় তাকে গ্রেফতা দেখাচ্ছে না পুলিশ।

এ অবস্থায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে বিএনপির এ নেতার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু সিএমএম কোর্ট তাদের জামিন আবেদন গ্রহণ না করে রেখে দেন। জামিন শুনানি গ্রহণ ও শুনানির ক্ষেত্রে সিএমএম আদালতের এই নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি হাইকোর্টে রিট করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সে রিটেই শুনানির পর আদেশ দিলেন উচ্চ আদালত।

এফএইচ/ইএ/এমএস