ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আদম তমিজী হক কারাগারে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪

রাজধানীর দক্ষিণখান থানার সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে, তার আইনজীবী জামিন ও সুচিকিৎসা চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।একই সঙ্গে জামিন ও চিকিৎসা বিষয় শুনানির জন্য ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

গত ১৫ নভেম্বর আদম তমিজীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আনিসুর রহমান নাঈম। রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন তিনি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘আদম তমিজী হক তার ফেসবুক ব্যবহার করে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ, মিথ্যা আক্রমণাত্মক তথ্য-উপাত্ত প্রচার করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিসহ বর্তমান সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের অবমাননাকর, আপত্তিজনক, মানহানিকর, উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, ‘তার এসব বক্তব্যে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তিনি তার অজ্ঞাতপরিচয় পলাতক সহযোগীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, সংহতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আসামিরা সংঘবদ্ধ সরকারবিরোধী ফেসবুক অ্যাক্টিভিস্ট। তাদের এ ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তাদের এসব নেতিবাচক কার্যকলাপে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তারা বর্তমান সরকারকে উৎখাত করতে সুগভীর পরিকল্পনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব আপত্তিকর ভিডিও ও বক্তব্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন। যাতে শান্তিপ্রিয় জনগণ সংক্ষুব্ধ হয়।’

মামলার পর গত ৯ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসা থেকে আদম তমিজী হককে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ১১ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তবে, এখন পর্যন্ত তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ অবস্থায় আজ আদম তমিজী হককে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী।

জেএ/এমএএইচ/জিকেএস