অ্যাটর্নি জেনারেল
আইন সম্পর্কে না জেনে ড. ইউনূসের রায় নিয়ে বিদেশিদের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে না জেনে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে মন্তব্য করা হচ্ছে বললেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ(এএম) আমিন উদ্দিন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেভাবে বোঝানো হয়, বিদেশিরা সেভাবেই কোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য করে থাকেন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের বিরুদ্ধ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রায় নিয়ে দেশি বিদেশি বিভিন্ন ব্যক্তিদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকার শ্রম আদালতে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ছয় মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণার পর সোমবার (১ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের রায় নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রশ্ন তুলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে- সেটি আপনি কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশের আইন বিষয়ে বিদেশিদের তো পরিষ্কার ধারণা নেই। সরকার যা করে একটি রাজনৈতিক দল সবকিছুর বিরোধিতা করে। তারাই রং-চং দিয়ে বিদেশিদের কাছে উপস্থাপন করে। তারপর বিদেশিরা এ নিয়ে মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন> ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রায়/ আইনজীবী-মানবাধিকারকর্মীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অভিযোগ স্বীকার করে নিলেই তো আর বিচার হতো না; সাজার রায়ের পর তো সবাই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। ড. ইউনূস সেই দাবিই করেছেন। বরং তিনি যদি নিজের দোষ স্বীকার করতেন সেটাই ব্যতিক্রম হতো।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মহাসচিব ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মী আইরিন খান বলেছেন, সাজার রায়ে বিশ্বে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের কোনো অসম্মান হবে না। আন্তর্জাতিকভাবে তার সম্মান অটুট থাকবে। বরং তার বিরুদ্ধে রায়ের ফলে দেশেরই অসম্মান হবে, দেশের বিচার ব্যবস্থার অসম্মান হবে। তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে পৃথিবীর সবাই ভালো করে চেনে। তিনি কী কাজ করেন তা ভালো করে জানে। তাই সাজার রায়ে ড. ইউনূসের অসম্মান হবে না। দেশের আইনের অসম্মান হবে, আদালতের অসম্মান হবে।
আইরিন খান বলেন, বছরের প্রথম দিনে আমরা সবাই স্বপ্ন দেখি বছরটা কেমন যাবে। আমি আশা করি সরকার মানুষের মানবাধিকারের বিষয়ে সচেতন হবে এবং মানুষের মানবাধিকার রক্ষা করবে। মিথ্যা বিচার করে এবং মিথ্যা কেস এনে কারো লাভ হয় না...শুধু আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে অসম্মান করা হয়।
এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ ট্রাইব্যুনালে গুম-নির্যাতনের অভিযোগ দিলেন শিবিরের ৭ নেতাকর্মী
- ২ হাসিনার ২ উপদেষ্টা ও ১০ সাবেক মন্ত্রীর ট্রাইব্যুনালে হাজিরা কাল
- ৩ কারাগারে পাঠানোর আদেশ শুনে পালালো আসামি, পুলিশের ২ সদস্য বরখাস্ত
- ৪ খালেদা জিয়াসহ আটজনের মামলায় আরও সাতজনের সাক্ষ্য
- ৫ হত্যাচেষ্টা মামলায় দেশ টিভির এমডি আরিফ ২ দিনের রিমান্ডে