প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলে রিটের আদেশ রোববার
গত ৮ ডিসেম্বর হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ১৮ জেলার নিয়োগ পরীক্ষা। ওই পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে আরও শুনানি ও আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। সেদিন রিটের একটি সাপ্লিমেন্টারি জমা দিতে হবে। বিষয়টি জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন।
এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশী ফাতেমা আক্তার নামে এক প্রার্থী ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেছিলেন।
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কমিশনারসহ ১৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের পক্ষের আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর প্রাথমিকের প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এই ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। হরতাল-অবরোধ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তিন বিভাগের ১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এছাড়া পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতি হয়েছে। এ কারণে গত ৮ ডিসেম্বর গ্রহণ করা পরীক্ষা বাতিল করে নির্বাচনের পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে রিট করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন বিভাগের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের সব কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল এবং পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন কয়েকশ প্রার্থী।
এফএইচ/এমএইচআর/এমএস
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ মহিউদ্দিন ফারুকী ও আলেপ উদ্দিনকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
- ২ চট্টগ্রামের ঘটনায় ৩ মামলা, গ্রেফতার ৩৩: হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষ
- ৩ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
- ৪ সুপ্রিম কোর্টে নজিরবিহীন ঘটনা, প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ
- ৫ হাইকোর্ট রেজিস্ট্রারের নামফলকের পাশে লেখা ‘হাসিনার দোসর’