ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

নাশকতার চার মামলায় বিএনপির ৪৯ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪৬ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজধানীর ভাটারা, ডেমরা, পল্লবী ও কামরাঙ্গীরচর থানার পৃথক চার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৯ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

এর মধ্যে ২০১৮ সালের ভাটারা থানার নাশকতার মামলায় ভাটারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানসহ বিএনপির চার নেতাকর্মীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন আসামি হলেন- ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল আজিজ, মোশারফ হোসেন স্বপন ও হেলাল উদ্দিন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় ১২ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভাটারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ বিএনপির ৪ জনের কারাদণ্ড

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভাটারা থানার বিএনপির নেতাকর্মীরা বেআইনি সমাবেশ করে নাশকতা করে। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

ডেমরা থানার মামলায় বিএনপির ২৫ জনের কারাদণ্ড

২০১২ সালে ডেমরা থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৫ জন নেতাকর্মীর সাড়ে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের প্রত্যেককে পেনাল কোডের ১৪৩ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ছয় মাস, ৩৫৩ ধারায় দুই বছর ছয় মাস ও ৪২৭ ধারায় ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাবুল ভুইয়া, মোশারফ হোসেন ইব্রাহিম, সুমন, আমিনুর রহমান, মো. স্বপন, খোকন, রফিকুল ইসলাম রফিক, রাসেল, তোফাজ্জল হোসেন, মনির হোসেন, কামরুল হাসান বাচ্চু, গোলজার হোসেন, মহল উদ্দিন, নূরে আলম, সাদ্দাম হোসেন, শিপু মিয়া, মো. শাওন, মোশারফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, তৌহিদুল কবির আকাশ, আব্দুল্লাহ, সাইফুল ইসলাম, আশরাফ আলী ওরফে কাউছার, মো. দুলাল ও ফারুক আহমেদ। আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৮ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন: নীরব-মাসুদসহ বিএনপি-জামায়াতের ৩১ জনের কারাদণ্ড

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে ডেমরা এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতা করলে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

পল্লবী থানার মামলায় বিএনপির ৯ জনের কারাদণ্ড

২০১৩ সালে পল্লবী থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ৯ জনের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের প্রত্যেককে পেনাল কোডের ১৪৩ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ছয় মাস, ৪৩৫ ধারায় দুই বছর ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. নুর সালাম, মো. শামীম, সুমন, এসএম আতাউর রহমান, গোলাম ইয়াজদানি, মাওলানা নুরুজ্জামান, এসএম মামুন, নুর মোহাম্মদ গাজী ও রবিউল করিম বাবু। এছাড়া বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্ত আসামি বাদে বাকি আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: যুবদলের সাবেক সভাপতিসহ বিএনপির ১০ নেতাকর্মীর ৩ বছরের কারাদণ্ড

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পল্লবী থানাধীন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতা করলে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় ১১ জনের কারাদণ্ড

কামরাঙ্গীরচর থানা করা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ কারাদণ্ড দেন।

আসামিদের মধ্যে ছয়জনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। তারা হলেন- মো. বাচ্চু মিয়া, মো. মহিউদ্দিন, মো. আলী আকবর, মো. আলমগীর হোসেন, মো. ওসমান মিয়া, হাজী মো. আব্দুর রশিদ। বাকি পাঁচ আসামিকে দুই মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মো. ইউসুফ, মো. নূর হোসেন, মারুফ, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. রফিকুল ইসলাম

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল বিএনপি-জামায়াতের মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার এ মামলাটি করে পুলিশ। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. নুরুল ইসলাম।

জেএ/বিএ/এমএস