লালমাটিয়া মহিলা কলেজের ২৬ শিক্ষককে আত্তীকরণের আদেশ বহাল
রাজধানীর লালমাটিয়া মহিলা কলেজের ২৬ শিক্ষককে তিন মাসের মধ্যে চাকরির সব সুযোগ-সুবিধাসহ আত্তীকরণে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে এই ২৬ শিক্ষকের সুযোগ-সুবিধা পেতে কোনো আইনগত বাধা নেই।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ সদস্যের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন বাদীপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম ও আইনজীবী মোহাম্মদ বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট কাজী তামান্না। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোর্শেদ ও আর কলেজের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজধানীর লালমাটিয়া মহিলা কলেজকে সরকারিকরণ করে ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮’ এর আলোকে ঢাকা জেলার মোহাম্মদপুর থানাধীন লালমাটিয়া মহিলা কলেজ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে সরকারি ঘোষণা করা হয়। যা ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে।
প্রজ্ঞাপন জারির পরও ওই শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে বেতন অর্ধেক করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক বেতন-ভাতার দাবিতে ২০২২ সালে লালমাটিয়া মহিলা কলেজের ২৬ জন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং কর্মরত শিক্ষকদের নিয়ম অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভু টু আপিল দায়ের করেন।
এরপর আপিল বিভাগ বেতন-ভাতাদির বিষয়ে স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগকে রুলটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। এরই মধ্যে জারি করা রুল শুনানি শেষে হাইকোর্ট তা খারিজ করে ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে রিটকারী শিক্ষকদের সবাইকে প্রভাষক পদে আত্তীকরণের নির্দেশ দেন। ওই রায় ও আদেশের বিরুদ্ধে রিটকারী শিক্ষকেরা লিভ টু আপিল (লিভ টু আপিল মামলা নম্বর- ৫১৯/২০২৩) করেন।
এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস