ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

২৮ অক্টোবরের সহিংসতা

হাইকোর্টে আগাম জামিন পেলেন বিএনপির তিন নেতা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৫৪ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০২৩

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী এবং যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তিন সপ্তাহ শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।

আরও পড়ুন>> কারাগারে মির্জা ফখরুল

আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের করা দুই মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে তিন সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তিন সপ্তাহ শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ২৮ অক্টোবর শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, বাসে ভাঙচুরের অভিযোগে ২৯ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় কাকরাইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোফিজুর রহমান একটি মামলা করেন। রমনা থানায় আরেকটি মামলা করেন সিদ্বেশ্বরী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. সহিদুল ওসমান মাসুম।

মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

আরও পড়ুন>> মির্জা আব্বাস-আলাল গ্রেফতার

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো এবং কাকরাইলে বিচারপতিদের বাসভবন জাজেস কমপ্লেক্সের ভেতরে অনধিকার প্রবেশ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাসভবনের নামফলকসহ বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করা হয়।

এছাড়া ভবনের সামনে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, যা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করে। মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।

এফএইচ/ইএ/জিকেএস