ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

হবিগঞ্জের মধু মিয়ার পক্ষে পরবর্তী যুক্তিতর্ক ২২ নভেম্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫৩ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের বনিয়াচংয়ের মো. মধু মিয়া তালুকদারের (৬৬) মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য আগামী ২২ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মধু মিয়া হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জানান, আসামি মধু মিয়া বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির সমর্থক। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। প্রথমে মামলায় দুজন আসামি ছিলেন। তবে মামলার অন্য এক আসামি মারা যাওয়ায় এখন তিনিই একমাত্র আসামি। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। এর পরে প্রসিকিউশনের আনা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) ৯ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেছেন। আর আসামিপক্ষের দুজন সাফাই সাক্ষী তাদের পক্ষে জবানবন্দি পেশ করেছেন।

আসামি মধু মিয়ার বিরুদ্ধে একাত্তরে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাটসহ মোট পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল তদন্ত শুরু হয়। এরপর গত বছরের ২৩ মে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে আসামি মধু মিয়া এবং তার বংশের লোকজন মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়নে শান্তি কমিটি ও ‘মধু বাহিনী’ নামে একটি রাজাকার দল গঠন করেন। তখন তিনি রাজাকার কমিটির কমান্ডার ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি পলাতক ছিলেন।

১৯৭৬ সালে মধু মিয়া নিজ গ্রামে ফিরে বিএনপিতে যোগ দেন এবং ২০১৬ সালে বিএনপি থেকে বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।

এফএইচ/এমকেআর/জেআইএম