ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

মন্ত্রিত্বের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিপরিষদ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭ এএম, ২৭ মার্চ ২০১৬

আদালত অবমাননার দায়ে ৫০ হাজার করে জরিমানার পর দুই মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব থাকবে কিনা তা ‘নৈতিকতার সঙ্গে জড়িত ও মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে’ বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশের পর রোববার সকালে অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী পদ থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, “এটি এই মুহূর্তে আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। সংবিধানে এ ব্যপারে বিস্তারিত আছে বলে মনে হয় না। তবে বিষয়টি নৈতিকতার সাথে জড়িত। তাদের মন্ত্রিত্ব রাখবেন কি না তার সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিসভা।”

আদালতের আদেশের বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, “দুইজন মন্ত্রী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। আদালত সংক্ষিপ্ত আদেশে বলেছেন- অপরাধের গুরুত্ব এতটা বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করে তারা যে দরখাস্ত দিয়েছেন, তা গ্রহণ করে অপপারগতা প্রকাশ করেছেন।”

“তাই তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। জরিমানার অর্থ আগামী সাত দিনের মধ্যে ইসলামী চক্ষু হাসপাতালে ও লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশে জমা প্রদান করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই সাত দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ জমা না দিলে তাদেরকে এক সপ্তাহের জন্য বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে বলে উল্লেখ করেছেন।”

অ্যাটর্নি জেনারেল আরো বলেন, “ওই বৈঠকে (৫ মার্চ যে সভায় দুই মন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন) অনেক মন্তব্য করেছেন। কিন্তু সবার বিরুদ্ধে আদালত কোনো রুল ইস্যু করেননি নানা দিক বিবেচনা করে। দুই জন মন্ত্রী যেহেতু তারা শপথ নিয়েছেন, সংবিধান ও আইনের শাসন রক্ষা করবেন। যেহেতু তাদের সাংবিধানিক দায়-দায়িত্ব আছে, বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষার জন্য সেজন্য এই দুজনের ওপরে রুল ইস্যু করা হয়েছিল।”

“আজকে দুই জনের ব্যাপারে আদেশ দেওয়া হল। অন্ততপক্ষে এই আদেশের প্রেক্ষিতে দেশবাসী বুঝতে পারবে, আদালতের মর্যদা ক্ষুণ্ন করা কোনো নাগরিকের পক্ষেই উচিত না।”

মাহবুবে আলম বলেন, “এই হল ম্যাসেজ, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে নিয়োজিত দুজন মাননীয় মন্ত্রী তাদেরকে আদালত কোনো রকম ছাড় দেননি, অন্যান্য নাগরিক যারা আছেন তাদের পক্ষে এটি বুঝে নেওয়া সম্ভব হবে আদালত অবমাননার ফল কী হবে?”

এর আগে দেশে কোনো মন্ত্রীর সাজা হয়েছিলো কি না সাংবাদিকেদর এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আমার মনে হয় একজন মন্ত্রীর ব্যাপারে ঘটেছিল, জনাব হাবিবুল্লাহ খান। ..খুব সম্ভবত এরশাদের সময়।”

আদালতের রায়ের পর তার মন্ত্রিত্ব ছিল কি না এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “মনে হয় না।”

এফএইচ/আরএস/এমএস

আরও পড়ুন