ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ডিএনএ রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি, জামিন পেলেন বড় মনির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৩৪ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২৩

ডিএনএ রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ না মেলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরকে জামিন দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সোমবার (৯ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ নির্দেশ দেন।

এর আগে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টে আসে, ধর্ষণের শিকার নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতকের পিতা বড় মনির নন। ফলে বড় মনিরের জামিনে আর কোনো বাঁধা নেই। বড় মনিরের আইনজীবী এম সাঈদ আহমেদ রাজা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এসব কথা।

এর আগে গত ২১ আগস্ট ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৯ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এসময়ের মধ্যে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতকের ডিএনএ টেস্ট রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেন আদালত।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ১২ জুলাই ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বারজজ আদালত। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন আদালত। ২১ আগস্ট ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট আপিল বিভাগে দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এর চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ দেন।

গত ২১ আগস্ট হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত থাকবে মর্মে আদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এ সময়ের মধ্যে ধর্ষণের শিকার নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় সেটি আদালতে জানানো হয়।

গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলায় ধর্ষণের কারণে নারীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। মামলায় বড় মনির ও তার স্ত্রী নিগার আফতাবকে আসামি করা হয়। পরে ভুক্তভোগী নারীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রমাণ পায় মেডিকেল বোর্ড। ভুক্তভোগী নারী গত ৬ এপ্রিল আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে ওই নারী নবজাতকের জন্ম দেন।

মামলায় ওই নারী অভিযোগ করেন, গোলাম কিবরিয়া তার পূর্বপরিচিত। গত ১৭ ডিসেম্বর তাকে শহরের আদালত পাড়ায় নিজের বাড়ির পাশের একটি ভবনে গোলাম কিবরিয়া ডেকে নেন। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন ও আপত্তিকর ছবি তুলে রাখেন। পরে আপত্তিকর ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, একপর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি গোলাম কিবরিয়া জানার পর সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তবে ভুক্তভোগী কিশোরী রাজি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ তাকে শহরের আদালত পাড়ায় গোলাম কিবরিয়ার শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি কক্ষে ওই কিশোরীকে গোলাম কিবরিয়া আবার ধর্ষণ করেন।

গত ১৫ মে ধর্ষণ মামলায় বড় মনিরের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল মহসীনের আদালত।

গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। তিনি জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব।

এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম