পিরোজপুরের দুই আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
পিরোজপুর-১ ও ২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে প্রকাশিত গেজেট বৈধ বলে হাইকোর্টে দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৬ পষ্ঠার এ রায় প্রকাশ হয়।
ওই দুই আসনের পাঁচ বাসিন্দার করা রিটে জারি করা রুল খারিজ করে গত ৩ সেপ্টেম্বর রায় দেন আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রায়ে পিরোজপুর-১ ও ২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে প্রকাশিত গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল খারিজ করেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, এম কে রহমান, সাঈদ আহমেদ রাজা, মোস্তাফিজুর রহমান খান ও নাজমুল হোসেন রাকিব। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন মিয়াজী। অন্য বিবাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও মো.হাসান আব্দুল কাইয়ুম।
অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আদালতে এ বিষয়ে মতামত দেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আবুল কালাম খান (দাউদ), মো. মোদাচ্ছের আলি খান (দিপু) ও মো. তৌফিক।
রায়ের পরে আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী জানান, সীমানা নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। তাই রুল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এছাড়া পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
পিরোজপুর-১ আসন আগে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। এ আসনের সীমানা পরিবর্তন করে নেছারাবাদ উপজেলা বাদ দিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা যোগ করা হয়েছে। ইন্দুরকানী উপজেলা আগে পিরোজপুর-২ আসনের অংশ ছিল। অন্যদিকে নেছারাবাদ উপজেলা পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গত ১ জুনের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান ও নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ।
এরপর এ সংক্রান্ত দুই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩০ জুলাই হাইকোর্ট রুল দেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৩ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।
এফএইচ/কেএসআর