‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’
আইনজীবীদের সংবাদ সম্মেলনে বিচারপতি এস কে সিনহা প্রসঙ্গ
সুপ্রিম কোর্টের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে প্রধান বিচারপতির কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
এসময় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার সঙ্গে তৎকালীন আপিল বিভাগের বিচারপতিরা একত্রে বিচারকাজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান বিনা ভোটের সরকারের রোষাণলে পড়ে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন।
‘আমরা মনে করি আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি যেহেতু শপথ ভঙ্গের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার আইনি ও নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন, তাই প্রধান বিচারপতি নিজ উদ্যোগে তাদের বিচারিক কাজ থেকে বিরত রাখতে পরেন।’
রোববার (২৭ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, বর্তমানে কথিত ‘অজানা’ অভিযোগে হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে প্রায় ৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিরত রাখা হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতির প্রদত্ত বক্তব্য নৈতিকতার প্রশ্নে কোনো অংশেই কম নয়। তাদের বক্তব্য সরাসরি সংবিধান প্রদত্ত শপথ ভঙ্গের দৃষ্টান্ত। তাই ওই দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত না রাখলে ৪৮ ঘণ্টা পর তাদের পদত্যাগ দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: মানারাত নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা স্থগিত
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এসময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবীদের নতুন সংগঠন ইউনাইটেড ল’ইয়ার ফন্ট্রের সমন্বয়ক ও সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব ও ইউনাইটেড ল’ইয়ার ফন্ট্রের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভুইয়া, সাধারণ সম্পদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজলসহ বিএনপিপন্থি শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে তৎকালীন আপিল বিভাগের বিচারপতিরা একত্রে বিচারকাজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান বিনা ভোটের সরকারের রোষাণলে পড়ে বিচারপতি সিনহা দেশত্যাগ ও পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। আমরা মনে করি, আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি যেহেতু শপথ ভঙ্গের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার আইনি ও নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন, তাই প্রধান বিচারপতি নিজ উদ্যোগে তাদের বিচারিক কাজ থেকে বিরত রাখতে পারেন।
এফএইচ/এমএইচআর/জিকেএস
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ ট্রাইব্যুনালে গুম-নির্যাতনের অভিযোগ দিলেন শিবিরের ৭ নেতাকর্মী
- ২ হাসিনার ২ উপদেষ্টা ও ১০ সাবেক মন্ত্রীর ট্রাইব্যুনালে হাজিরা কাল
- ৩ কারাগারে পাঠানোর আদেশ শুনে পালালো আসামি, পুলিশের ২ সদস্য বরখাস্ত
- ৪ খালেদা জিয়াসহ আটজনের মামলায় আরও সাতজনের সাক্ষ্য
- ৫ হত্যাচেষ্টা মামলায় দেশ টিভির এমডি আরিফ ২ দিনের রিমান্ডে