ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

অ্যাটর্নি জেনারেল

বিচারপতির বক্তব্য বিকৃত করে অরাজকতার অপচেষ্টা চলছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫৩ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২৩

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, জিয়াউর রহমান ও পাকিস্তানের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত ব্যক্তিরা একজন বিচারপতির বক্তব্য বিকৃত করে আইন অঙ্গনে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আয়োজিত শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, গত ১৫ আগস্টের শোক সভায় একজন বিচারপতি বাংলাদেশের সংবিধানকে ব্যাখ্যা করেছিলেন। এটা আমরা সবাই জানি, সংবিধান হচ্ছে প্রতিটি দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দলিল। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে আমরা সংবিধান পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলভিত্তি সংবিধানে লিপিবদ্ধ হয়েছে। দেশ কীভাবে পরিচালিত হবে তা সংবিধানে আছে।

তিনি বলেন, আমাদের বিচারপতি বলেছিলেন, একজন বিচারক শপথ নেন সংবিধানকে সংরক্ষণ করার জন্য। আইনকে প্রটেক্ট করার জন্য। আমরা বিচারক হিসেবে শপথ নেই। সংবিধান রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। সে হিসেবে আমরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ। সামরিক শাসনের মাধ্যমে যখন সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছিল সেই সংবিধানকে রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ফিরিয়ে এনেছে। এটা আমরা সবাই জানি। এই সাংবিধানিক দায়িত্ব বিচারপতিরা পালন করেছেন।

রাষ্ট্রের প্রধান এ আইন কর্মকর্তা আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত যারা, পাকিস্তানের ভাবধারায় যারা অনুপ্রাণিত তারা বিচারপতির বক্তব্য বিকৃত করে আইন অঙ্গনে, বিচার বিভাগে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ওরা কিন্তু বসে নেই। এ কারণে আমি অনুরোধ করবো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। তাদের প্রতিহত করতে না পারলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো না।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আরেকটি কথা আমি বলি, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল তাদের তো আমরা চিনি। কিন্তু যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ছিলেন তাদের খুঁজে বের করতে আইনমন্ত্রী বলেছেন কমিশন গঠন করা হবে। আশা করছি এই কমিশন গঠন হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার রহস্য উন্মোচন হবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ (নির্বাহী কমিটির) চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বাদল, ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু, লিগ্যাল অ্যাডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন, ল. রিফর্ম কমিটির চেয়ারম্যান মো. একরামুল হক, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এ এফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী, হাউজ কমিটির চেয়ারম্যান আনিছ উদ্দিন আহমেদ সহিদ, রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন খান, রোল অ্যান্ড পাবলিকেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান, কমপ্লেইন ও ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব ড. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার, উপ-সচিব মো. আফজাল উর রহমান।

এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম