জবি শিক্ষক নাসির উদ্দিনের অপসারণ অবৈধ: হাইকোর্ট
গবেষণা প্রবন্ধ জালিয়াতির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমেদের অপসারণের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, চাইলে জবি শিক্ষক নাসিরকে আবার ফিরিয়ে নিতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এক রিট আবেদন শুনানিতে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে শিক্ষক নাসির উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম. মঞ্জুর আলম এবং তায়্যিব-ইসলাম সৌরভ। আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম।
আইনজীবী এম মঞ্জুর আলম জানান, অপসারণ আদেশের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষকের রিটে জারি করা রুল মঞ্জুর করে গবেষণা প্রবন্ধ জালিয়াতির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদের অপসারণের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০১৬ সালে সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন অধ্যাপক পদে আবেদন করেন। অধ্যাপক পদে আবেদনের শর্তানুসারে তার জমা দেওয়া দুইটি আর্টিকেলের বিষয়ে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৭তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে অপরসারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই আদেশের বিরুদ্ধে রিট করেন তিনি।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সম্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদের অপসারণের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। আজ ওই রুলের রায় ঘোষণা করা হলো।
অপসারণ আদেশ অবৈধ ঘোষণার রায়ের পর অধ্যাপক নাসির উদ্দীন আহমেদ বলেন, আমি দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চাই। শিগগির ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ফিরতে চাই। আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
শান্ত রায়হান/এফএইচ/কেএসআর/জিকেএস