ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আড়িয়াল বিলের স্যাটেলাইট ম্যাপ তলব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:২৫ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২৩

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে অবস্থিত আড়িয়াল বিলের ২০১০ ও ২০২২ সালের স্যাটেলাইট এরিয়াল ম্যাপ তলব করেছেন হাইকোর্ট। বিলের প্রকৃত ম্যাপ দাখিলের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অপর এক আদেশে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), শ্রীনগরের ইউএনও এবং পরিবেশের এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরকে আড়িয়াল বিলে আর যেন মাটি ভরাট, নির্মাণ কাজ, দখল কার্যক্রম করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বলেছেন আদালত।

একই সঙ্গে তাদের আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছেন। রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রুলে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে অবস্থিত বৃহৎ জলাশয় ‘আড়িয়াল বিল’ দখল করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও হাউজিং কোম্পানি কর্তৃক মাটি ভরাটের ওপর নিষেধাজ্ঞা কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দখল বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

jagonews24

আড়িয়াল বিল দখল বন্ধে জনস্বার্থে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার (১৬ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি জে. বি. এম. হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিল এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আর সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।

মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে অবস্থিত আড়িয়াল বিল দখলের বিষয়ে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর জনস্বার্থে গত ১৩ আগস্ট রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।

ওই রিট পিটিশনে আড়িয়াল বিল সংরক্ষণের নির্দেশনা এবং সব দখল, মাটি ভরাট, বালু ভরাট অপসারণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত আড়িয়াল বিল বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং জলাশয়টি মূল অবস্থান অনুযায়ী সংরক্ষণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানাতে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রিট শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ঢাকা শহরের বন্যা প্রতিরোধে অন্যতম ভূমিকা রাখে আড়িয়াল বিল এবং জলাশয় সংরক্ষণ আইন, ২০০০, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ পানি আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুসারে জলাশয় ভরাট শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে জলাধার আইনের ৮ ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে দিনে দিনে গুরুত্বপূর্ণ জলাশয়টি ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

রিট পিটিশনাররা হলেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ফর বাংলাদেশ পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. সারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল।

রিটের বিবাদীরা হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, জাতীয় গৃহ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রীনগর, অফিসার ইনচার্জ শ্রীনগরসহ মোট ১০ জন।

এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম