কান্না করে পরীমণি বললেন, ‘এত লোকের মাঝে কীভাবে বলবো’
শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন তিনি।
সাক্ষ্য দেওয়ার একপর্যায়ে আইনজীবীদের প্রশ্নের উত্তরে পরীমণি কান্না করে বলেন, এত লোকের মাঝে আমি কীভাবে এ বিষয় বলবো।
এসময় বিচারক বলেন, প্রকাশ্য আদালতে আপনার বলতে সমস্যা হলে ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: আমি তো এই দিনগুলোর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না: পরীমণি
এরপর পরীমণির আইনজীবী নীলঞ্জনা সুরভী রিফাত ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ১৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। এদিন ক্যামেরা ট্রায়ালে এ মামলার বিচার হবে।
পরীমণির আইনজীবী বলেন, মামলাটি স্পর্শকাতর। অনেক বিষয় আছে যা সবার সামনে বলা যায় না। পরীমণি সাক্ষ্য দেওয়ার সময় আইনজীবীরা বিভিন্ন সময় প্রশ্ন করতে থাকেন। এসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে পরীমণি বলেন, এত লোকের সামনে কীভাবে বলবো। তখন বিচারকের নির্দেশে আমরা ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: রাজ চলে গেলো রাজের মতো: পরীমণি
রুদ্ধদ্বার এজলাসে সাক্ষ্য, জবানবন্দি এবং জেরাগ্রহণ করাকে ক্যামেরা ট্রায়াল বলে। অর্থাৎ সে সময় শুধু দুই পক্ষের আইনজীবী, আসামি, ভিকটিম উপস্থিত থাকেন।
এর আগে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে পরীমণি তার স্বামী রাজকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। এসময় আসামি অমি ও শহিদুল হাজিরা দেন। তবে অসুস্থ থাকায় সময়ের আবেদন করেন নাসির উদ্দিন। দুই আসামির উপস্থিতিতে পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর আদালত পরীমণির আংশিক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
একই বছরের ১৯ এপ্রিল নাসির ও অমির পক্ষে তাদের আইনজীবী এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে, অব্যাহতির আবেদনের বিরোধিতা করে বাদীপক্ষ। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করে। এরপর ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: আমি রাজের বউ এটা আসলেই শুনতে চাই না: পরীমণি
২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমণি। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন।
জেএ/জেডএইচ/এএসএম