বিএনপি নেতা মিনুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা খারিজ
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার গ্রহণ করার মতো উপাদান না থাকায় তা খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে এনামুল হককে শিবিরের সাবেক সভাপতি বলায় মিনুর বিরুদ্ধে এ মামলা করেছিলেন রাজশাহী-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীল আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (২৩ জুলাই) ঢাকার বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন এমপি এনামুল হক। ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ও ২৯ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলা গ্রহণের মতো কোনো উপাদান না থাকায় আদালত তা খারিজ করে দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই রাত ১টার সময় ও পরের দিন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রচারিত একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘এনামুল সাহেব বাগমারার। জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ কিছুই করতে দেখিনি। বরং বগুড়ায় যখন পড়াশোনা করত তখন শিবিরের প্রেসিডেন্ট ছিল।’ এ ধরনের বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ায় ব্যাপকমাত্রায় বাগমারা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমপি এনামুল হকের মানহানি ও সমাজে মর্যাদাহানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপি এনামুলকে শিবিরের সভাপতি বলায় মিনুর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
প্রসঙ্গত, মিজানুর রহমান মিনু ওই টকশোতে এনামুল হক ছাড়াও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের এমপি শাহরিয়ার আলম এবং রাজশাহী-৫ আসনের এমপি ডা. মনসুর রহমানকে নিয়েও কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য দেন।
টকশোতে তিনি বলেন, শাহরিয়ার আলম বিএনপির মনোনয়ন পেতে তার কাছেও এসেছিলেন। আর মনসুর রহমান এমপি বিএনপির সময় জেলখানার ডাক্তার হিসেবে ব্যাপক অত্যাচার করেছেন উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম তিনি বিএনপি করতেন’।
জেএ/জেএইচ/জিকেএস
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ মামুন-জিয়াসহ সাতজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে
- ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে শেয়ারট্রিপের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ
- ৩ ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা আইনজীবী কল্যাণ সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি
- ৪ বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: পিএসসির দুই কর্মচারী কারাগারে
- ৫ দুই মামলায় অব্যাহতি পেলেন মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ১২৫ নেতাকর্মী