ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ডিস ব্যবসায়ী সোহেল হত্যা মামলায় ৮ আসামির যাবজ্জীবন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৫৭ এএম, ২১ জুন ২০২৩

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সোহেল প্রধান নামের এক ডিস লাইন ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আট আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২১ জুন) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাসুদ করিম এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কামাল মোল্লা, জালাল মোল্লা, বিল্লাল মোল্লা, হারুন মোল্লা, মহসিন মোল্লা, আমির হোসেন, জাকির হোসেন ও জাবের হোসেন। তাদের মধ্যে আমির হোসেন, জাকির হোসেন ও জাবের হোসেন পলাতক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম সোহেল প্রধান (২৬) মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন টেংগারচর গ্রামের অসুস্থ পিতা নাছির উদ্দিন প্রধানের বড় ছেলে। গ্রাম্য দলাদলির রেশ ধরে পূর্ব শত্রুতার কারণে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সোহেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঢাকার মিরপুর ১ নম্বর গোল চত্বর থেকে ২০১৭ সালের ৫ মে রাত ৯ টার দিকে অপহরণ করে। এ সময় তারা সোহেলকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে একটি সাদা গাড়িতে করে টেংগারচর গ্রামের আসামি কামাল মোল্লার বাড়ির সামনে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পাশের ভুট্টা ক্ষেতের ভেতরে নিয়ে লোহার হাতুড়ি, লোহার চোকা রড, লোহার পাইপ ইত্যাদি অস্ত্র দিয়া উপর্যুপরি আঘাত করে। সোহেল মরে গেছে ভেবে টেংগারচর থেকে আসামিরা সোহেলকে সিএনজিতে করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে টহল পুলিশের গাড়ির আওয়াজ পেয়ে তড়িঘড়ি করে গুরুতর আহত সোহেলকে জামালদি ব্র্যাক অফিসের পাশে ফেলে দিয়ে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। টহল পুলিশ আহত সোহেলকে উদ্ধার করে গজারিয়া (ভবেরচর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

সেখানকার ডাক্তারের নির্দেশমতে সোহেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার সোহেলকে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেও সোহেল তার ভাইসহ আত্মীয়স্বজনদের আসামিদের নাম ও ঘটনা বলেন।

এ ঘটনায় সোহেলের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে ৩ জন আসামি আদালতে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জেএ/এমকেআর/জেআইএম