ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

স্ত্রীকে নির্যাতন: ক্রিকেটার আল-আমিনের মামলার বিচার স্থগিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৫২ পিএম, ০১ জুন ২০২৩

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলাটির বিচারিককার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গত ১৭ মে হাইকোর্টের বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মবিন ও বিচারপতি মো.আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তা স্থগিত করেন।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাই কোর্টে আল-আমীনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব।

 তিনি বলেন, আজ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম উচ্চ আদালতে স্থগিত হয়েছে বলে আসামি পক্ষের আইনজীবী উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিল করেন। এজন্য এদিন মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন ২ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি মামলা আকারে নথিভুক্ত করে মিরপুর মডেল থানা। তদন্ত শেষে গত ২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সোহেল রানা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সংসারকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল-আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

ইসরাতের বৃদ্ধ বাবা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আল-আমিন তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বেশ কয়েকবার মারধরের পর তিনি (ইসরাত) আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পারিবারিকভাবে আপস-মীমাংসা করে নেন। এতে আল-আমিন শান্ত না হয়ে দিনের পর দিন তার ওপর অত্যাচারসহ শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২৫ আগস্ট আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করা টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। তার স্ত্রী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন।

আল-আমিন জানিয়ে দেন, তার (ইসরাত) সঙ্গে সংসার করবেন না, তাকে তালাক দেবেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন। পরে ইসরাতের চাচা তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলে আল-আমিন তার সঙ্গে আগের মতো আচরণ করতে থাকেন।

জেএ/জেএইচ