ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে রায় ৫ মে

প্রকাশিত: ১১:৫৮ এএম, ১০ মার্চ ২০১৬

বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে দিয়ে সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী সংক্রান্ত জারি করা রুলের ওপর রায়ের জন্য আগামী ৫ মে দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর বিশেষ বেঞ্চ রায়ের এই দিন ঠিক করেন।আদালতের শুনানিতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে ২০১৫ সালের ২১ মে এই রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। ওইদিন আদালত মতামত দিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সিনিয়র পাঁচ আইনজীবীর নাম ঘোষণা করেন। ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসি এই শুনানিতে অ্যামিচি কিউরি হিসেবে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ  (১৬তম) সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে ৯ জন আইনজীবী এই রিট করেন। রিটের শুনানিতে কেন সংবিধানের ওই ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না’ সে বিষয়ে রুল জারি করেন আদালত।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, আইনসচিব ও সংসদ কার্যালয়ের সচিবকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৫ মে ধার্য করেন হাইকোর্ট।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদরে বলেন, এ সংশোধনীতে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আদালতকে নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে এ সংশোধনী করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সংবিধানের বেসিক স্ট্রাকচার পরিবর্তন করা হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ায় এ রিট করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিচারপতিদের অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ছিল। এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। তারপরও সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে এ ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে দেয়া হয়েছে। সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিলের রায়ে ৯৬ অনুচ্ছেদ সংরক্ষণ করা হয়েছিল।

এফএইচ/এসএইচএস/এআরএস/এবিএস

আরও পড়ুন