ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

বাফুফের সালাউদ্দিন-মুর্শেদী-সোহাগের ‘দুর্নীতি’র তদন্ত চেয়ে রিট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:০৫ পিএম, ১৪ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ বাফুফের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে এ বিষয়ে তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির তদন্ত দাবি করা হয়েছে।

আবেদনে বাফুফে সভাপতি, কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-ভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগেদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতের অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা/নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি বাফুফের কর্তাদের দুর্নীতি, অর্থ পাচার, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে আরও যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চাওয়া হয়েছে তারা হলেন-বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।

রিট আবেদনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম নিতে অনুসন্ধানে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে ব্যাপারে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় অভিযোগ অনুসন্ধান করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার আরজি রয়েছে রিটে।

পাশাপাশি ৩ মে দুদকে করা রিট আবেদনকারীর আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে সংস্থাটির (দুদক) চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ)প্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফের) সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

রোববার (১৪ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়ন হচ্ছে না। ফুটবলকে বাঁচাতে হলে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এ কারণে রিট দায়ের করেছি।

বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে ৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। এতে ফল না পেয়ে আজ তিনি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। সায়েদুল হক সুমন জানান, ফিফা নিয়েছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা। কিন্তু এটা ফৌজদারি এক্টিভিটিস। এজন্য অনুসন্ধান চেয়ে রিট করেছি।

গত ১৪ মে আর্থিক অনিয়ম এবং কাগজ জালিয়াতির দায়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা দুই বছরের জন্য সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করে। এছাড়া বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে।

আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, ফিফার দেওয়া অর্থ বাফুফের খরচ দেখাতে তিনি ভুল ডকুমেন্ট দেখিয়েছেন। ফিফা শুনানি ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই এ শাস্তি দিয়েছে বলে তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

সোহাগের বিরুদ্ধে সাধারণ আর্টিকেল ১৫ (দায়িত্বে অবহেলা), ১৫ (সততা) ও ২৪ (মিথ্যা তথ্য দেওয়া) ভঙ্গের অভিযোগ দেখিয়েছেন তারা। এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে আবু নাঈম সোহাগকেও। অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বাফুফে ও এএফসিতে।

এরপর ১৭ এপ্রিল ইমরান হোসেন তুষারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে সোহাগকে আজীবনের নিষিদ্ধ করে বাফুফে। ওইদিন জরুরি সভা শেষে এ তথ্য জানায় দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এফএইচ/কেএসআর/এমএস/এমআইএইচএস