মীর কাসেমের চরম দণ্ড বহাল থাকবে: অ্যাটর্নির আশা
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর আপিলের রায়ে চরম দণ্ড বহাল থাকবে বলে আশা করছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনি কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তিনি বলেন, আমি আশা করবো, রায়ে তার চরম দণ্ড বহাল থাকবে।
সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
মীর কাসেমের রায়ে একদিকে যেমন তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাচ্ছেন মাহবুবে আলম অন্যদিকে খন্দকার মাহবুব এর আগে বলেছিলেন, তারা ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা করছেন।
সম্প্রতি মীর কাসেমের আপিল শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে কিছু কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। এ সমস্ত বিষয় কোনো প্রভাব ফেলবে না- উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল আরো বলেন, মামলার তথ্য, উপাত্ত, সাক্ষী ইত্যাদির উপর রায় নির্ভর করে। বিচারবিভাগ নিয়ে কোনো মন্তব্যের উপর না।
অ্যাটর্নি জেনারেল বিএনপির সুরে কথা বলছে- খাদ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি মাহবুবে আলম।
জামায়াতের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে মীর কাসেম আলীর আপিল মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হবে আগামীকাল। এরআগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ছয়টি আপিল মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। যাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে তারা হলেন- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা জসিম ও জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে হত্যার দায়ে (১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগ) তাকে ওই দণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া আরো কয়েকটি অভিযোগে তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এরপর ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন মীর কাসেমের আইনজীবীরা। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১৮১টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।
এফএইচ/এনএফ/এমএস