ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ফুলপরীকে নির্যাতন করা হয়েছে: বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে উচ্চ আদালতের আদেশে গঠিত জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।

ইবি’র ওই ছাত্রীকে রুমে আটকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। এর আগে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও আদালতে দাখিল করা হয়।

জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, সত্যতা পাওয়া গেছে ছাত্রীকে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণের। শনাক্ত করা হয়েছে নির্যাতনকারীদের। এছাড়া মোট ১০ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে শতাধিক পৃষ্ঠার সংযুক্তি জমা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এসব প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হবে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় প্রতিবেদনগুলো দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রীকে নির্যাতন: বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে 

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে কক্ষে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) কমিটি গঠনের সাতদিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে এ নির্দেশনা দেন আদালত।

আদালতের আদেশ অনুসারে তিন সদস্যের কমিটিতে প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা, জেলা জজ মনোনীত বিচারবিভাগীয় একজন কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

এছাড়া কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এর আগে নির্যাতনের ভিডিও ধারণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে রিটে জড়িতদের হাইকোর্টে তলব করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি ধারণ করা ভিডিও অপসারণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) হল প্রভোস্ট, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্রী। এসময় তার সঙ্গে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও কয়েকজন ছিলেন বলে জানা গেছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ইবিতে ভর্তির কয়েকদিনের মাথায় ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিষ্ঠুরতার শিকার হন এক ছাত্রী। নেত্রীদের কথা না শোনার অভিযোগ তুলে ওই ছাত্রীর ওপর সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালানো হয়। অকথ্য ভাষায় গালাগাল, মারধর, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ঘটনা কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন নেত্রীরা। ভয়ে ওই শিক্ষার্থী বাড়ি চলে যান।

এ বিষয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আইনজীবী আজগর হোসেন তুহিন। তখন আদালত আইনজীবীদের লিখিত আবেদন নিয়ে আসতে বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় রিটটি করা হয়।

এফএইচ/এমএইচআর/জিকেএস