জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালন: হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিতের নির্দেশনা চেয়ে আপিল করেছেন দলটির বহিষ্কৃত নেতা এবং সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা।
আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল আবেদন করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে জানান আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। আগামী রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী।
এর আগে গত বছরের ৪ অক্টোবর দলে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা।
এরপর জিএম কাদের যেন জাপার বিষয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন সে বিষয়ে গত বছরের ৩০ অক্টোবর (২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। পরে এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে জিএম কাদেরের করা আবেদন ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।
এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের। জেলা জজ আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। পরে শুনানির আদেশ এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করলে ২৪ নভেম্বর জেলা জজ আদালত সেটিও খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেন জিএম কাদের। পরে ২৯ নভেম্বর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৩০ অক্টোবরের নিষেধাজ্ঞার আদেশ ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে রুল জারি করেন।
এরপর জিয়াউল হক মৃধা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বারজজ আদালত। একই সঙ্গে আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় এটি আপিল বিভাগে শুনানি হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই মারা যান। এরপর হাইকোর্টে একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন জিএম কাদের।
এরপর গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। মশিউর রহমান রাঙ্গাকেও জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দল থেকে বহিষ্কার হন জিয়াউল হক মৃধাও।
এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস