ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলায় রায় ঘোষণা হাইকোর্টের
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাইকোর্টে বাংলায় রায় ঘোষণা হয়েছে। এটি ছিল বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সর্বোচ্চ আদালতে দেওয়া প্রথম কোনো রায়।
একটি মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ বাংলায় রায় এই ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদের স্বজনদের খবর রাখে না কেউ
রায় ঘোষণার আগে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, আজ ১ ফেব্রুয়ারি। শুরু হলো ভাষার মাস। ভাষা শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতি সম্মান জানিয়ে আজকের প্রথম রায়টি বাংলায় ঘোষণা করছি। বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এ রায় ঘোষণা করছি।
রিট মামলাটি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ১২তম ছিল। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত ও রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ভাষাশহীদ রফিকের নামে জাদুঘর থাকলেও নেই কোনো স্মৃতিচিহ্ন
আইনজীবী শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের মামলাটি অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা। আদালত এর রুল নিষ্পত্তি করে অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আদালত বাংলায় দেওয়া রায়ে বলেন, আলোচনা ও আইনজীবীর যুক্তিতর্ক পর্যালোচনান্তে আমরা অত্র মোকদ্দমার গুণাগুণ পর্যালোচনায় প্রবেশ না করে রুলটি নিম্নলিখিত নির্দেশনাসহ নিষ্পত্তি করতে সম্মত হই।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের মর্যাদায় করণীয়
নির্দেশনাগুলো হলো
(ক) দরখাস্তকারী অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন।
(খ) দরখাস্তকারী আপিল করতে চাইলে অত্র আদেশ হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে।
(গ) অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে তামাদি মার্জনীয় হবে।
(ঘ) নিম্ন অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালে আদেশ আপিল দায়ের পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
পক্ষগণ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দখলের বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। রিট মামলা নিষ্পত্তি করা হলো।
এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম