ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

জবানবন্দিতে শিমু-নোবেলের মেয়ে

‘মা আমি ভুল করে ফেলেছি, মাফ করে দিও’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলে যাওয়ার দুদিন পর মেয়ের কাছে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছিলেন শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে শিমু-নোবেল দম্পতির মেয়ে অজিহা আলিম রিদ এমনটিই জানিয়েছেন। এদিন নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন অজিহা।

জবানবন্দিতে রিদ জানান, তার বাবা নোবেল জেলে যাওয়ার দুদিন পর ফোন করে তাকে বলেন, ‘মা আমি ভুল করে ফেলেছি। আমাকে মাফ করে দিও।’

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মাদ শফিকুল ইসলামের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন।

এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য ও জেরার জন্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। এদিন রিদের সাক্ষ্য দেওয়ার আগে মামলার বাদী শিমুর ভাই হারুন অর রশীদকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত আগামী ২৬ জানুয়ারি অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যের তারিখ ধার্য করেন।

গত বছরের ২৯ নভেম্বর শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওইদিন দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

পরদিন ১৭ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না। ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গত ১৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। ২০ জানুয়ারি মামলার প্রধান দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম উভয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

জেএ/এমকেআর/জেআইএম