স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতিকে ছাড় নয়: হাইকোর্ট
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতিকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে আদালত বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছে। আমরাও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। তবে, সেই বাংলাদেশ হবে দুর্নীতিমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
আদালত আরও বলেন, দুর্নীতির গন্ধ যেখানেই পাবো সেখানেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দুর্নীতিবাজদের কোনো ছাড় নেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেবেন।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান জাগো নিউজকে জানান, ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে (বিসিআইসি) ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে এভাবে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন >> ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দেশকে শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর হাইকোর্ট।
আদালতের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, কোনো ধরনের দুর্নীতিকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের নলেজে যেটা আসবে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি দুদককে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এফএইচ/এমএএইচ/জেআইএম