ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৬:২৩ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

দুর্নীতি দমন কমিশনের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১৩ আসামিকে আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা-৩ এর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আলী জমাদার এ নির্দেশ দেন। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলা বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের জারি করা রুল খারিজ করে দেয়ার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পেয়েছে। রায় প্রকাশের ফলে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়া সময় থেকে দুই মাসের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্নসমর্পন করতে বলা হয় রায়ে।

ওই দিন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এখন হাইকোর্টের রায়টি বিচারিক আদালতে যাওয়ার দুই মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে এই নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

এর আগে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট খালেদার গ্যাটকো দূনীর্তি মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই মামলায় রায় পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেন। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ মামলায় খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান আসামি। প্রধান আসামির করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে কয়েক বছর ধরে স্থগিত ছিল মামলাটি। তবে মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।

উল্লেখ্য, ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানি লিমিটেডকে (গ্যাটকো) ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে (প্রয়াত) আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। মামলায় গ্যাটকোকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকা ক্ষতির অভিযোগ করা হয়।

২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়া ও সাবেক ছয় মন্ত্রীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ (চার্জশিট) দেয়া হয়। দুদক আইন ও জরুরি বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর  হাইকোর্টে আলাদা দুটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এসব আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট খালেদা ও কোকোর বিরুদ্ধে কার্যক্রম স্থগিত এবং রুল জারি করেন। পরে বেশ কয়েক দফায় মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ বাড়ান আদালত।

এফএইচ/এআরএস/পিআর