ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

জাপায় জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালন নিষিদ্ধই থাকলো

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জিএম কাদের) দায়িত্ব পালন নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বাতিল করে চেম্বারজজ আদালতের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সঙ্গে সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন নিষ্পত্তিও করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে জিএম কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

একই সঙ্গে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। আগামী ৯ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত তিনি আর দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে এ দিন আপিল আবেদনকারী জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। জি এম কাদেরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।

আদেশের বিষয়ে সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন জিএম কাদের। হাইকোর্ট তখন নিষধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন। তার বিরুদ্ধে মামলার বাদী জিয়াউল মৃধা আপিল বিভাগে আবেদন করেন। তখন ৩০ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। আর আজকে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ হাইকোর্টের ওই স্টে দেওয়ার আদেশটা ডিসমিস করে দেন। আর জেলা আদালতে জিএম কাদের যে আপিলটা করেছেন সেটা ৯ জানুয়ারি শুনানি করতে বলেছেন। যার ফলে নিম্ন আদালত তার দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার যে আদেশ দিয়েছিলেন সেটা বহাল থাকলো।

এর আগে ৪ অক্টোবর দলে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা।

এরপর জিএম কাদের যাতে জাপার বিষয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন সে বিষয়ে ৩০ অক্টোবর (২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে) পার্টির কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করতে পারে এবং কোনো কার্য গ্রহণ করতে না পারে সে মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। পরে এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে জিএম কাদেরের করা আবেদন ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।

এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের। জেলা জজ আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। পরে শুনানির আদেশ এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করলে ২৪ নভেম্বর জেলা জজ আদালত সেটিও খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেন জি এম কাদের।পরে ২৯ নভেম্বর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৩০ অক্টোবরের নিষেধাজ্ঞার আদেশ ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে রুল জারি করেন।

এরপর জিয়াউল হক মৃধা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বারজজ আদালত। একই সঙ্গে আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় এটি আপিল বিভাগে শুনানি হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর হাইকোর্টে একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন জিএম কাদের।

এরপর ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন।

এফএইচ/এমএইচআর/এমএস/এমআইএইচএস