ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারি

স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ২৮ নভেম্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২২

হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত এ দিন ধার্য করেন।

এদিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে ২৮ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অন্য আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের এ মামলায় কারাগারে আটক আসামি সাহেদকে আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিন জামিনে থাকা অন্য আসামিরাও আদালতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেন। জেরা শেষ হলে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১২ জুন আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আলোচিত এ মামলার বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন।

২০২১ সালেরর ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র আমলে নেন।

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এ মামলা করেন। হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলায় স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা না হলেও পরবর্তী সময়ে তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রেও তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক সই ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছেন। ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগীপ্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

জেএ/এমকেআর/এএসএম