ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

মীর কাসেম আলীর পক্ষে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৮:০২ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর আইনজীবীর প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন হাইকোর্ট থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বুধবার শুনানি শেষে মামলার কার্যক্রম আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ শুনানিতে অংশ নেন। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

মানবতাবিরোধী অপরাধের সপ্তম আপিলে অবসরপ্রাপ্ত কোনো বিচারপতি অংশ নেন। কিন্তু এর আগে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ আরো ছয় মামলার শুনানিতে আপিলে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এস এম শাহজাহান শুনানি করেছেন।

শুধু মাত্র ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার পক্ষে ব্যারিস্টার রাজ্জাক শুনানি করেছিলেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী মীর কাসেমের দ্বিতীয় দিনের আপিল শুনানিতে তিনি অংশ নেন।

তবে এই প্রথম জামায়াতের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ও অর্থদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেমের আপিল শুনানিতে অবসরে যাওয়া কোনো বিচাপরপতি অংশ নিচ্ছেন।

জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানি অব্যাহত রয়েছে। তার আগে আদালতে মীর কাসেম আলীর পক্ষে মঙ্গলবার সকালে লিখিত আগুমের্ন্ট জমা দেন এস এম শাহজাহান। এরপর অভিযোগগুলো পাঠ শুরু করেন।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি আদালত মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানির জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। আজ (বুধবার) ছিল শুনানির দ্বিতীয় দিন। গত ২ ফেব্রুয়ারি তার আইনজীবীদের শুনানির জন্য এক সপ্তাহ সময় দেন আদালত। সেই অনুযায়ী মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল।

মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন ট্রাইব্যুনাল। রয়ের বিরুদ্ধে ৩০ নভেম্বর মীর কাসেম আলী আপিল করেন।  

এর আগে ঘোষিত ছয়টি আপিল মামলার চূড়ান্ত রায়ের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চারজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। বাকি দু’টির মধ্যে একটির পূর্ণাঙ্গ ও একটির সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ।

এফএইচ/আরএস/পিআর