ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

টাঙ্গাইল-৪ উপ-নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত: ০৯:৩৫ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে রোববার। পরে রায় ঘোষণার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন আদালত।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে উক্ত রুলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এই দিন ঠিক করেন। নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াসিন জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

রোববার আদালতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানি করেন ড. মোহাম্মদ ইয়াসিন খান। কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী।

এর আগে গত ২ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ রুল নিষ্পত্তির জন্য এই বেঞ্চ ঠিক করে দেন। সুপ্রিম কোর্ট ৩১ জানুয়ারির পর্যন্ত রুল নিষ্পত্তির সময় বেধে দেন। ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন হাইকোর্টের জারি করা রুলের জবাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াসিন।

গত ২৭ অক্টোবর উপ-নির্বাচন স্থগিত করেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। একইসঙ্গে বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসির) আপিল আবেদন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। ইসির তফসিল অনুযায়ী ১০ নভেম্বর এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

টাঙ্গাইল-৪ আসনে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এরপর গত বছরের ১০ নভেম্বর নির্বাচনের দিন ধার্য করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই আসনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে কাদের সিদ্দিকী ও তার দলের আরো তিনজনসহ মোট ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

কিন্তু ঋণখেলাপের অভিযোগে গত বছরের ১৩ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর ১৬ অক্টোবর এ দুই নেতা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন করেন। ১৮ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে তার মনোনয়নপত্র বাতিলের চূড়ান্ত রায় দেন। এরপর নির্বাচন কমিশনের বাতিল আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী।

এর আগে, ২০ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২১ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত ও কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে আদেশ দেন বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে।

একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আদেশের বিষয়ে রুল জারি এবং রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে দেন। পরে ২৬ অক্টোবর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন জানান ইসির অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড ব্যারিস্টার ড. মো. ইয়াসিন খান।

সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থার নামে অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। কাদের সিদ্দিকী এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও নাসরিন কাদের সিদ্দিকী পরিচালক। ঋণখেলাপি হওয়ায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ১০ নভেম্বর টাঙ্গাইলের-৪ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সুপ্রিম কোর্টের আদেশের ফলে এখন নির্ধারিত দিন নির্বাচন হচ্ছে না।

এফএইচ/বিএ

আরও পড়ুন