ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সিলেটে পাথর ভাঙ্গার মেশিন বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত: ১০:৫৬ এএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

পরিবেশের ক্ষতি হওয়ায় সিলেট সদরসহ পাঁচ উপজেলার পাথর ভাঙ্গার মেশিন (স্টোন মেশিন) বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অবিলম্বে তা বন্ধ করার জন্য পরিবেশ অধিদফতর সিলেট ও পাঁচ উপজেলা সিলেট সদর, কোম্পানিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ নিতে বলেছেন আদালত।  

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলার) করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমেদ এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার পক্ষে এদিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী।

এর আগে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) পরিবেশগত ছাড়পত্রহীন এসব পাথর ভাঙ্গার মেশিন বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে। রিটে বলা হয়- উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠ ও হাসপাতালের আশেপাশে মেশিন স্থাপন করে পাথর ভাঙ্গার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। ৎ

আবেদনে সিলেট জেলা প্রশাসনের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয় জেলার ৬০৬টি স্টোন ক্রাশার মেশিনের মধ্যে ২১৩টির ছাড়পত্র রয়েছে, ৩৯৩টিরই ছাড়পত্র নেই। এর মধ্যে ১৫০টির জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

পরে বেলার আইনজীবী সৌরভ সাংবাদিকদের বলেন, সিলেট সদর, কোম্পানিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট অঞ্চলে স্থানীয় প্রসাশনের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৬০৬টি স্টোন ক্রাশার মেশিন রয়েছে। ওই সব মেশিন রেসিডিন্সিয়াল এরিয়া, খেলার মাঠ, হাসপাতালের প্রাঙ্গণে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে স্টোন ক্রাশার মেশিন স্থাপন করে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্ট ও চর্মরোগ বাড়ছে। কতটি স্টোন ক্রাশার মেশিন পরিবেশ অধিদফতরের ছাড় পেয়েছে তার কোনো সঠিক হিসাব বলতে পারে না প্রশাসন।  

তিনি আরো বলেন, এর প্রতিকারেই স্টোন ক্রাশার মেশিনের পাথর ভাঙ্গার কারণে পরিবেশ দূষণ ও শব্দ দূষণ হচ্ছে বলে তা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই রিট আবেদন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। রিটে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষকসহ ২১ জনকে বিবাদী করা হয়। ওই রিটের শুনানি করে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।

পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়া পাথর ভাঙ্গার মেশিন চালু রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এ রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার এই আদেশ দেন আদালত।

এফএইচ/এসএইচএস/এমএস