ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ডা. সাবরিনার প্রতারণার মামলা: যুক্তি উপস্থাপন থেকে ফের জেরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৫৪ পিএম, ২০ জুন ২০২২

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ‘ভুয়া’ রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে ফের জেরার জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (২০ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলার আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামিপক্ষ আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এরপর ডা. সাবরিনার পক্ষে জব্দ তালিকার সাক্ষী ইয়াসিন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জেরার জন্য ২৯ জুন দিন ধার্য করেন।

গত ১১ মে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের ‘নির্দোষ’ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল একই আদালতে সাক্ষ্য দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন। ওইদিনই আদালত আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১১ মে দিন ধার্য করেছিলেন। মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৬ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ‘ভুয়া’ বলে চিহ্নিত হয়।

এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হলে দু’জনকেই গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ওই বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা-আরিফসহ আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী। চার্জভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা এবং বাকি আসামিদের প্রতারণা ও জালিয়াতির কাজে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এ মামলায় ২০২০ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করলে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এ সময় আসামিরা নিজেদের ‘নির্দোষ’ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।

জেএ/এমআরএম/এমএস