ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

৪ সিটির বায়ু দূষণরোধে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৫৭ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

ঢাকার দুই সিটি এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বায়ু দূষণরোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টে জানাতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে বায় দূষণরোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রিটের বিবাদী স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ ও বন সচিব, পুলিশের আইজি, সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের মেয়রগণ ও পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আইনজীবী জুলহাস উদ্দিন আহমেদ রিটের শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন মো. মুজিবর রহমান। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।  

এর আগে ১৭ জানুয়ারি আইনজীবী জুলহাস উদ্দিন আহমেদ ও মো. মুজিবর রহমান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন দায়ের করেন।

গতকাল (রোববার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুলহাস উদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট মো. মজিুবর রহমান এই রিট আবেদন করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে ধুলা বাতাসে ছড়িয়ে দেয়। ধুলাবালি ও আবর্জনা রাস্তার পাশে জড়ো করে রাখে। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের কারণে বাতাসে তা ছড়াতে থাকে। এছাড়া কোনো কোনো জায়গায় জড়ো করা আবর্জনা পোড়ানোর ফলে ধোয়ার সৃষ্টি হয়। এসব ধুলা ও ধোয়ার কারণে নগরবাসী দুঃসহ শ্বাসকষ্ট নিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া যানবাহানের কালো ধোয়ার কারণেও মানুষ মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১৫ হাজারেরও বেশি লোক মারা যাচ্ছে। ৬৫ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রায় দুইশ` মিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।  

রিট আবেদনকারী আইনজীবী বলেন, এ চারটি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বায়ু দূষণরোধে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ দেয়ার পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ কারণে রিট আবেদন করা  হয়েছে বলে জানান।

এফএইচ/জেএইচ/এমএস

আরও পড়ুন