ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আইনজীবীদের ড্রেসকোড পেশায় প্রভাব ফেলছে: ব্যারিস্টার সুমন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০৩ পিএম, ২৫ মে ২০২২

আইনজীবীদের ড্রেসকোড পেশায় প্রভাব ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

তিনি বলেছেন, আইনজীবীদের শরীরে এতো কিছু (কাপড়) জড়িয়ে গরমে মাথা আর কাজ করে না। মাথাই যদি ঠিক না থাকে, তবে ক্লায়েন্টকে (মক্কেল) যথাযথ প্রতিকার পাইয়ে দেওয়া সম্ভব নয়, যা আইনপেশায় প্রভাব ফেলছে।

বুধবার (২৫ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও লাইভে তিনি এসব কথা বলেন।

আদালতে আইনজীবীরা সাদা শার্টের ওপর কালো কোট ও কালো গাউন পরেন। এটা নিছক প্রথা নয়। সুনির্দিষ্ট এ পোশাক বা ড্রেস কোড মানার বাধ্যবাধকতা আছে আইনজীবীদের। কিন্তু জ্যৈষ্ঠের তাপপ্রবাহ তো প্রথা বা আইনের তোয়াক্কা করে না। ফলে আদালতে মামলা পরিচালনাকালে প্রচণ্ড গরমে আইনজীবীদের এই পোশাক হয়ে ওঠে অসহনীয় অস্বস্তির।

অন্তত গ্রীষ্মকালে আইনজীবীদের খানিকটা স্বস্তির পোশাক সংক্রান্ত বিধি কিছুটা শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট আদালতে একটি মামলা পরিচালনা করতে আসছি। এখানে যারা আমাদের অভিভাবক বা আমাদের আইনজীবীরা আছেন তারা একটু শুনতে পারবেন কি না? এই গরমে এখানে ছোট্ট একটা সিঁড়ি। এ সিঁড়ি দিয়ে শত শত লোক ওঠেন ও নামেন। নয় তলা পর্যন্ত উঠছি আর নামছি। পুরান ঢাকার কোর্টে জানি না আসছেন কি না।

আইনজীবীদের পোশাকের কথা তুলে ধরে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, এখন তাপমাত্রা প্রায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই প্রচণ্ড গরমে আইনজীবীদের গাউন, কালো কোট, শার্ট ও স্যান্ডো গেঞ্জি পরতে হয়। এতো কিছু শরীরে জড়িয়ে গরমে মাথা আর কাজ করে না। মাথাই যদি ঠিক না থাকে, মেজাজেই খারাপ থাকে, তবে ক্লায়েন্টকে (মক্কেল) সুবিধা দেবেন ও ভালো করে কথা বলবেন এই মেজাজই ঠিক থাকে না। এজন্য পুরো প্রফেশনের ওপর একটা প্রভাব পড়ছে।

করোনাকালে পোশাকবিধি শিথিল করার উদাহরণ টেনে সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী বলেন, আমার দাবি হচ্ছে- একইভাবে শুধু গ্রীষ্মকালে অন্তত আইনজীবীদের গাউন পরার বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হোক। যেন এই গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে না হয়। শীত মৌসুমে আবার গাউন পরার বাধ্যবাধকতা জারি করলে অসুবিধা নেই। এখানে আপনারা আসছেন কি না জানি না। ফুটবল খেললে যে চেহারা হয় এখানে গরমে ঠিক আমার সেই চেহারা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতিসহ আইনজীবী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষকে কষ্ট দিয়ে সংস্কৃতি বা কাস্টম ধরে রাখার কোনো মানে হয় না। অনেকেই হয়তো বলবেন যে এই পোশাক আইন পেশাজীবীদের পরিচায়ক, আমিও এটা মানি। কিন্তু অন্তত এই গরমের সময় শুধু গাউনটাও যদি না পরার ব্যবস্থা করা হয় খানিকটা স্বস্তি পাবেন আইনজীবীরা। আপনাদের জন্য মনের দোয়া দিতাম। দোয়া করতাম অন্তত দুনিয়া ও আখেরাতে উপকৃত হতেন।

এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকা একাধিক আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেন।

এফএইচ/আরএডি/জেআইএম