ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

চাপে ফেলতেই রাষ্ট্রপক্ষের রিভিউ : খন্দকার মাহবুব

প্রকাশিত: ১১:২৫ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

চাপ সৃষ্টি করতেই জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

রোববার সাঈদীর দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদনের পর সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

খন্দকার মাহবুব বলেন, আমি মনেকরি সাঈদীর দণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রিভিউ আবেদন দায়ের করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনগত বৈধতা নেই।

তিনি আরো বলেন, যদি কোনো অভিযোগে সাঈদীর অপরাধ প্রমাণিত হয়, সেই অপরাধের সাজা কি হবে সেটা সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনগত বৈধতা নেই। অযথা চাপ সৃষ্টির জন্যই রাষ্ট্রপক্ষ এ রিভিউ আবেদন করেছেন।  

সাঈদীর প্রধান এ আইনজীবী বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর খালাস চেয়ে রিভউ দাখিল করা হয়েছে। এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ অমৃত্যু করাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে তার মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রিভউ করেছেন। আমরা এ মামলা সাঈদী থেকে সম্পূর্ণভাবে খালাস দেয়ার জন্য রিভিউ ফাইল দাখিল করেছি।
 
মাহবুব বলেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে আনীত ২০ অভিযোগের  মধ্যে ৮টি প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। তবে বিশাবালী  ও ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যার বিষয়ে সঠিক ভাবে প্রমাণ না পাওয়ার দণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ।

মাহবুব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিশাবালী হত্যায় সাঈদী জড়িত ছিলেন না বলে তার (বিশাবলীর) আপন ভাই সুখরঞ্জণ বালী সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী দিতে আসেন। ডিফেন্সের পক্ষে সাক্ষী দিতে আসার সময় ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে সুখরঞ্জণ বালীকে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ করে।

তিনি বলেন, সে দিন সাঈদীর আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের কাছে সুখরঞ্জণ বালীকে সাদা পোষাকধারীরা অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করলেও প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। কিন্তু পরে সুখরঞ্জণ বালীকে ভারতের কারাগারে পাওয়া যায়। আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রাউন্ডটি রিভিউ আবেদনে তুলে ধরেছি। আশা করি আমরা বিজয়ী হব, সাঈদী সম্পর্ণ ভাবে খালাস পাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আমৃত্যু কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রোববার রিভিউ আবেদন করেন সাঈদী। মোট ৯০ পৃষ্টার রিভিউ আবেদনে আমৃত্যু কারাদণ্ড থেকে খালাস পেতে ১৬টি যুক্তি দেখানো হয়েছে।

অপরদিকে, গত ১২ জানুয়ারি  সাঈদীর অমৃত্যুকারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করার জন্য সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের ৩০ পৃষ্ঠার মূল আবেদনে ৫টি গ্রাউন্ড দেখানো হয়।

এফএইচ/এসকেডি/এএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন