মহেশখালীর ১৯ জনের চার্জ গ্রহণ করেননি ট্রাইব্যুনাল
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কক্সবাজারের মহেশখালীর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রশিদ মিয়াসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়নি ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগপত্রে মৃত জিন্নাত আলীর নাম থাকায় ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করেননি।
একই সঙ্গে ১৯ জনের মধ্যে মামলায় অভিযুক্ত মৃত আরো দুই আাসামির নাম বাদ দিয়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আগামী ১৫ মার্চ দাখিল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত, প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন, আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ট্রাইব্যুনালকে বলেন, মৃত জিন্নাত আলী সব অপরাধের সঙ্গেই জড়িত। একারণেই তার নাম আনুষ্ঠানিক অভিযোগে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। তবে আদালত চাইলে অভিযোগ আমলে নেয়ার সময় তার নাম বাদ দিতে পারেন।
তিনি জানান, তাদের এ যুক্তি আমলে না নিয়ে তার (জিন্নাত আলী) নাম বাদ দিয়ে পুনরায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করতে বলেন। ট্রাইব্যুনাল একই মামলায় নতুন ভাবে অন্তর্ভূক্ত হওয়া আসামি রমিজ হাসান বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাো জারি করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্মানন্তর ও দেশান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- মৌলভী জকরিয়া শিকদার (৭৮), মো. রশিদ মিয়া বিএ (৮৩), অলি আহমদ (৫৮), মো. জালাল উদ্দিন (৬৩), মোলভী নুরুল ইসলাম (৬১), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল (৬৩), মমতাজ আহম্মদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), মোলভী আমজাদ আলী (৭০), মৌলভী আব্দুল মজিদ (৮৫), বাদশা মিয়া (৭৩), ওসমান গণি (৬১), আব্দুল শুক্কুর (৬৫), মোলভী সামসুদ্দোহা (৮২), মো. জাকারিয়া (৫৮), মো. জিন্নাহ ওরফে জিন্নাত আলী (৫৮), মোলভী জালাল (৭৫) ও আব্দুল আজিজ (৬৮)।
এদের মধ্যে সালামত উল্লাহ খানসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ট্রাইব্যুনালে যতগুলো মামলা এসেছে তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় মামলা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. নূরুল ইসলাম ২০১৪ সালের ১২ মে থেকে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত তদন্ত শেষ করেন।
জানা যায়, প্রতিবেদনে ৬০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ঘটনা স্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচি এবং ঘটনা স্থলের স্থির চিত্র দাখিল করা হবে প্রসিকিউশনে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে মোট ঘটনা ১৩টি। এর মধ্যে হত্যার ৯৪টি, নারী নির্যাতন অসংখ্য এবং লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ। মামলায় মোট একশ ২৬ জন সাক্ষী রয়েছেন।
এফএইচ/আরএস/পিআর