তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ
অবৈধ উপায়ে অর্থ লেনদেনের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বহুল প্রচারিত একটি ইংরেজি দৈনিক এবং একটি বাংলা দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মানিলন্ডারিংয়ের এ মামলায় তারেক রহমানের খালাস পাওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল শুনানির বিষয়ে পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আমির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, আদালত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নতুন করে সমন জারির নোটিশ পাঠাতে বলেছেন। একইসঙ্গে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতেও বলেছেন আদালত।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থের লেনদেনের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে করা মামলায় বিচারিক আদালতে খালাসের আদেশ বাতিল চেয়ে আনা আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্যে গত ৩ জানুয়ারি আবেদন করে দুদক। এর আগে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ ছেলে এবং দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাস দিয়ে রায় দেয় বিচারিক আদালত। একই মামলায় তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
পাচারকৃত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয় আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিল আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ
করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলা দায়ের থেকে শুরু করে পুরো বিচার প্রক্রিয়াতেই অনুপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান। গত আট বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।
এফএইচ/আরএস/পিআর