ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

তারেকের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির দিন ধার্যে আবেদন

প্রকাশিত: ০৮:০৭ এএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৬

মানিলান্ডারিং মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির উদ্যোগ নিতে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  শুনানির দিন ধার্য করতে রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায়  দুদকের পক্ষে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এর আগে ২০১৩ সালের ৭ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তারেকের নিম্ন আদালতের  খালাসের রায় বাতিল চেয়ে আপিলটি দায়ের করে।
 
একই বছরের ১৭ নভেম্বর মামলা থেকে তারেক রহমানকে খালাস দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন। তবে তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

তারেক রহমান এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন এবং তার অনুপস্থিতিতেই মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলে আসছিল। বিচারিক আদালতের রায়ের পর সে বছরের ৫ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করে দুদক। সে আপিলের শুনানির জন্য আজ সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ আবেদন করে দুদকের আইনজীবী।

সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে তারেক রহমান এবং তার বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

২০০৯ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক এ মামলাটি দায়ের করে। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল, একটি পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের কাজ দেয়ার কথা বলে একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ নেন গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। যে অর্থ লেনদেন হয় সিঙ্গাপুরে এবং সেখানেই মামুনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখা হয়।

ওই অর্থ থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা তারেক রহমান খরচ করেছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারেক রহমানের বিরুদ্ধ এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে জানায় আদালত।

এ মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয় এবং মামুনকে গ্রেফতার করা হয় ২০০৭ সালে। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।পলাতক থাকার কারণে এ মামলায় তারেক রহমানের পক্ষে রায় ঘোষণার সময় কোন আইনজীবী ছিলেন না।

মামলায় দুদকের পক্ষে ১৩ জন সাক্ষীকে উপস্থাপন করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের একজন বিশেষ এজেন্টও রয়েছেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে আদালতে মোট ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে ১০টি বর্তমানে উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।

অর্থপাচারের মামলাটি ছাড়া তিনটি মামলার বিচারকাজ এখন চলছে। এসব মামলার মধ্যে আছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতি মামলা এবং ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলায় সম্পৃক্ততার মামলা।

এফএইচ/এসকেডি/এমএস