রায় পর্যালোচনার পর সাঈদীর রিভিউয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউয়ের বিষয়ে পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সাঈদীর রায় প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
এদিকে, রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিদেশে থাকায় ওনার মতামত জানা যায়নি। যদিও অ্যাটর্নি জেনারেল আগেই বলেছিলেন, রায় প্রকাশের পর সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রিভিউ করবেন তিনি।
অন্যদিকে, সঈদীর তৃতীয় ছেলে ও জিয়ানগর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. মাসুদ বিন সাঈদী জাগো নিউজকে বলেন, আমরা রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পাওয়ার পরে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করবো। তার পর বাবার সঙ্গে (কারাগারে) দেখা করার পর যত দ্রুত সম্ভব রিভিউর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাব।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি (অনুলিপি) প্রকাশ করা হয়। সুপ্রিমকোর্টের এ রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে তা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য আবেদন করার সুযোগ তৈরি হলো রাষ্ট্রপক্ষের।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বলেন, “পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পেয়েছে। আমরা রায়টি পর্যালোচনা করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের (সরকারের) সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে রিভিউ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”
অন্যদিকে, সাঈদীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, “ সঈদীর মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি আমাদেরকে দেয়ার জন্য একটি আবেদন জমা আছে। রায়ের কপি বুঝে পেলে তার পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
এই মামলায় সাঈদী ও রাষ্ট্রপক্ষের দুটি আপিল ছিল। আদালত উভয় আপিলের আংশিক মঞ্জুর করেছেন বলে জানা গেছে।
এরমধ্যে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা সব অভিযোগ থেকে সাঈদীকে খালাস দেন। তবে আপর বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন।
তবে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন (তৎকালীন), বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর মতামতে সংখ্যাগরিষ্ঠ (তিনজন) ভিত্তিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেঞ্চের বিচারকদের স্বাক্ষরের পর সকাল ১১টার দিকে সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে তার অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। আপিলের রায়ে ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে হত্যা, নিপীড়ন, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ ও ধর্মান্তরে বাধ্য করায় সাঈদীকে ‘যাবজ্জীবন’ কারাদণ্ড দেয়া হয়। যাবজ্জীবন বলতে ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর সময় পর্যন্ত’ কারাবাস বোঝাবে বলে ব্যাখ্যা দেয় আদালত।
এছাড়া ৮ নম্বর অভিযোগের একাংশের জন্য সাঈদীকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৭ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
এফএইচ/এসকেডি/পিআর
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ গুলশানে গুলির ঘটনা ঘটেনি, ফুটেজ দেখার অনুরোধ সাবেক ওসি মাজহারের
- ২ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
- ৩ ‘জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের টার্গেট কিলিং করা হচ্ছে’
- ৪ বেনজীর ও মতিউর পরিবারের বিরুদ্ধে ৬ মামলার প্রতিবেদন ১১ মার্চ
- ৫ আদালত-বিচারকের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা, জানতে চেয়ে চিঠি