ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ভোলায় থাকা ডাচ নাগরিকের জমি খাস হিসেবে হস্তান্তর হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২১

নেদারল্যান্ডসের নাগরিক পিটার এচেলি এডমন্ড রোজারের নামে ভোলা সদরে থাকা সেই জমি সরকারের খাস জমি হিসেবে হস্তান্তর করতে হবে। রোজারের বাংলাদেশে কোনো উত্তরাধিকার না থাকায় ওই জমি সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জমি হস্তান্তরের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুন নেসা রত্না।

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট ভোলার রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মাসুদা আক্তার সদর উপজেলা এসিল্যান্ড বরাবরে একটি স্মারক পাঠান। সেখানে বলা হয়, সদর উপজেলার চর কালী মৌজায় ১৩ দশমিক ৭৩ একর জমির প্রকৃত মালিক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক পিটার এচেলি এডমন্ড রোজার। ভুয়া সার্টিফিকেট মামলা (৩৫৪২/৬০-৬১-১০১০/৬৪-৬৫ এবং ২১১/৭৩-৭৪) মূলে ওই জমি জনৈক সিরাজুল হক (বর্তমানে মৃত) নিজ নামে হস্তান্তর ও নামজারি করেছেন। বিষয়টি দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। জমির প্রকৃত মালিক রোজারের কোনো উত্তরাধিকার এ দেশে না থাকায় তা সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ করা হয় সেখানে।

আইনজীবীদের নথি অনুসারে দেখা যায়, ১৯৮৭ সালে সিরাজুল ইসলাম ওই জমি তিনজনের কাছে হস্তান্তর করেন। ওই তিনজন আবার ৪ দশমিক ০৭ একর জমি ২০০৯ সালে কাজী জাহিন এস হাসানের কাছে হস্তান্তর করেন।

এদিকে, রেভিনিউ কালেক্টরের ওই চিঠির পর ২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট আলী নগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সোলাইমান একটি নোটিশ জারি করেন। সেখানে বলা হয়, পূর্ব চর কালী মৌজার এস/এ ১১৯ নম্বর খতিয়ানের ১৩ দশমিক ৭৩ একর জমির প্রকৃত মালিক নেদারল্যান্ডস নিবাসী পিটার এচেলি এডমন্ড রোজার। তার নামে ওই জমির এস/এ রেকর্ড অঙ্কিত আছে। তাই ওই খতিয়ানের জমি সরকারি খাস হিসেবে বিধি মোতাবেক দখল হস্তান্তর করার জন্য বলা হলো।

এ নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কাজী জাহিন এস হাসানের মালিকানাধীন এম এস সাগরিকা ফিড মিল লিমিটেড। ২০১৫ সালে এই বিষয়টিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং জমি হস্তান্তরে স্থগিতাদেশ দেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এখন ওই জমি সরকারি খাস জমি হিসেবে বিধি মোতাবেক দখল হস্তান্তর করতে হবে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক।

এফএইচ/এমআরআর