ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন নিয়ে রিট খারিজ
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (৩১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম।
বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, আদালত বলেছেন, আদালতের কোনো এখতিয়ার নেই আইন করার।
গত ১৩ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের দাবিতে রিট করা হয়। রিটটি করেন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম।
রিটে নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদে আইন করার নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি আইন প্রণয়নের আগ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখারও আর্জি জানানো হয়। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন তৈরি করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছিলেন। জানতে চাইলে রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ওই রুলের শুনানি এখনো শেষ হয়নি। এখনো ওই রুলটি পেন্ডিং আছে।
ওই রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠন ও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সংবিধান ও আইনের অধীনে পরিচালিত হওয়ার কথা বলা থাকলেও এখন পর্যন্ত আইন প্রণয়ন করা হয়নি। একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সংবিধানের বিধানের বাইরে চলতে পারে না।
নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, (১) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে এবং ওই বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধান-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন।
সংবিধানের ১১৮ (৪) অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন এবং সংবিধান ও আইনের অধীনে চলবেন। এছাড়া ১১৮ এর ৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইনের বিধানে নির্বাচন কমিশনারদের কাজ রাষ্ট্রপতি যেভাবে আদেশ দেবেন সেভাবে চলবে।
এফএইচ/বিএ/জেআইএম