বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না খালেদা : বাসেত মজুমদার
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার বলেছেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে পতাকা দিয়েছে তাই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ও বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না। এজন্য বিএনপি যড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিজয়ের এ মাসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিমকোর্টের দক্ষিণ হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুণগান গেয়ে বক্তৃতা দিয়ে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে, বিদেশে পাঠাচ্ছে। শুনে থাকি অনেক পুলিশ অফিসার, অনেক ব্যাবসায়ী কোটি কোটি টাকা কামিয়ে বিদেশে পাঠাচ্ছে। দেশের টাকা তারা বিদেশে জমা করছে। এদেশের সীমিত সম্পদ দিয়ে সুষম বণ্টনের মাধ্যমে সবাইকে একত্রিত হতে হবে। বিজয়ের এ মাসে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হতে পেরেছি। সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে জননেত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।
বাসেত মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, অনেকেই ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে মন্ত্রী এমপি হওয়ার জন্য, দুর্নীতি মুক্ত হতে নয়। মনে প্রাণে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য তিনি সবাইকে আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, আমি নেত্রীকে বলেছি নেত্রী আপনি অনেককে বড় বড় পদে বসিয়েছেন, তারা আরো চায় কিন্তু আমাদের সম্পদ সীমিত, চাহিদা অসীম।
বিজয়ের এ মাসে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করলে স্বাধীনতা বিরোধীদের যড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, এজন্য সবাইকে একত্রি হয়ে কাজ করারও আহবান জানান আইনজীবীদের এ নেতা।
সংগঠনের সভাপতি এমএ জলিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. বশির উল্লাহ, দেশীয় সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি ও সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী অ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ চন্দ্র কর, বাসস এর সাবেক প্রধান সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূইয়া, অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন প্রমুখ।
বাসেত মজুমদার আরো বলেন, জাতির পিতা বিজয়ের ডাক দিয়েছিলেন, তার নেতৃত্বে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। কিন্তু আমাদের জন্য অত্যান্ত দুর্ভাগ্য হলো আমরা এখনো ঐক্যবদ্ধ হতে পারি নাই। স্বাধীনতার পর ইতোমধ্যে আমরা কিছু লোককে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছি। ইচ্ছাকৃতভাবে এখনো তারা (স্বাধীনতা বিরোধী) শক্তি যড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে পতাকা দিয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে তারা এখনো বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ও বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না। তারা যড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বিজয়ের এ মাসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে।
সিনিয়র এই আইনজীবী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলো হে বাংলাদেশ তুমি কার? তিনি বলেছিলেন, এদেশ সবার কামার,কুমার জেলে সবার। জাতির পিতার সে বক্তব্য আমাদের সবাইকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, অন্যায় দুর্নীতি বেশি করা হলে এদেশের সমম্পদের সুষম বন্টন না হলে দেশের মানুষের মধ্যে বিদ্রোহের সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, ৭৪ এ বঙ্গবন্ধু চার বছর ক্ষমতায় ছিলেন, তখন অনেকে অনেক দল গঠন করেছিলো। কেউ কেউ বৈজ্ঞানিক সমাজতন্দ্র কায়েম করতে চেয়েছিলো। এ জন্য বঙ্গবন্ধু বাকশাল কায়েম করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে সাংসদ আবুল কালাম আযাদ বলেন, বিএনপির নেত্রী স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে যে রকম কথা বলেছে তা স্বাধীনতা বিরোধী। এ জন্য বিএনপির মধ্যে যারা বীর প্রতীক, বীর উত্তমসহ রাষ্ট্রীয় খেতাব নিয়ে তাদের সবারই খেতাব কেড়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
এফএইচ/এসএইচএস/এমএস