৩৭ লাখ মামলার জট, ২০২২ সালে ৬ লাখ কমানোর পরিকল্পনা
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশে প্রায় ৩৭ লাখ মামলার জট তৈরি হয়েছে। এটি নতুন করে তৈরি হয়েছে তা নয়, অতীতের পুঞ্জীভূত সমস্যা। এ জট নিরসন করতে হবে। ২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিচারকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
রোববার (২৪ অক্টোবর) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ৪২তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিচারকরা হলেন বিচার বিভাগের প্রাণ। বিচার বিভাগের প্রধান চালিকাশক্তি। তাই তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে আজ প্রথমবারের মতো এ ইনস্টিটিউটে একই সঙ্গে দুটি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা সম্ভব হলো। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে।
তিনি যোগ করেন, মামলাজট কমানোর জন্য অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে ১১৫২ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখন কোনো পদ শূন্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা পূরণ করা হচ্ছে।
কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্ব বদলে গেছে। প্রতিনিয়ত বিশ্ব বদলে যাবে। তার সঙ্গে তাল মেলাতে বাংলাদেশকেও বদলাতে হবে। বাংলাদেশ বদলে গেলে বিচারকদেরও বিচারিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বদলাতে হবে।
আনিসুল হক বলেন, আজকে বাংলাদেশ নতুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পুরোনো বাংলাদেশ কিন্তু আর নেই। যেখানে ২১ বছর বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিরাজমান ছিল। অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে কি না সে বিষয়ে মানুষের যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। সেই সংস্কৃতি বদলে গেছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার, ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন।
এফএইচ/এমএইচআর/জেআইএম